প্রাথমিকের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এমন নিউজ বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হচ্ছে। Primary job exam date 2022 is fixed?. From the 1st April the exam will start, it’s not right. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষার সময়সূচী এপ্রিলে পাঁচ ধাপে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
একটি চক্র স্বাক্ষর নকল করে প্রাথমিক সহকারী পরীক্ষার তারিখ নিম্নভাবে উপস্থাপন করে:
আগামী ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ এপ্রিল এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, উক্ত তারিখ মোটেও ঠিক নয়। তবে এটা সত্য যে সামনের মাসেই (এপ্রিল মাস) প্রাথমিকের সহকারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সারা দেশে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব পদে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। এ পরীক্ষার তারিখ ও কেন্দ্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব গুজব থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ফেসবুকে যেসব প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো গুজব। একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব করছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
কবে পরীক্ষা হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, শিগগির পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলে গণমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার্থীদের ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরীক্ষা অন্যন্য বছরের ন্যায় সকাল ১০টা/বিকাল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে নেয়া হতে পারে।
গত ১০ মার্চ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে তথ্যটি সঠিক নয়। ওই চিঠিতে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো যেই চিঠি দেখানো হচ্ছে সেটি সত্য নয়। ।
আমরা জানি, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত বছরের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তি শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র; যুগান্তর
source: prothom alo chakrir bakri